গেরুয়া শিবিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব , আক্রান্ত নেতা : উত্তেজনা বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের এলাকায়

25th April 2020 বাঁকুড়া
গেরুয়া শিবিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব , আক্রান্ত নেতা : উত্তেজনা বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের এলাকায়


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  ফের বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ প্রকাশ্যে এলো। এবার দলের কর্মীদের হাতে ব্যাপক মার খেলেন দেবানন্দ সরকার নামে এক মণ্ডল সভাপতি। তার দু'টি পা ও একটি হাত ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। শনিবার বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের ঘটনা।

     সূত্রের খবর, বিজেপির পাত্রসায়র মণ্ডল-১ সভাপতি দেবানন্দ সরকার স্থানীয় ব্লক অফিস থেকে দলের তরফে ডেপুটেশন দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় বামিরা মোড়ের তেমাথার কাছে এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত কয়েক জন দেবানন্দ সরকারের পথ আটকায় ও ব্যাপক মারধোর করে। তাদের মারধোরের চোটে দেবানন্দ বাবুর দু'টি পা ও একটি হাত ভেঙ্গে যায় বলে অভিযোগ।  খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পাত্রসায়র থানার পুলিশ। পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় ঐ বিজেপি মণ্ডল সভাপতিকে পাত্রসায়র ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ার বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে সারা রাজ্যের সঙ্গে এই জেলাতেও বিপুল সাফল্য পায় বিজেপি। তারপর দলের মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন ঘিরে প্রথম প্রায় জেলা জুড়ে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ প্রকাশ্যে আসে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের চাপে বেশ কিছু দিন এই ঘটনা বন্ধ ছিল। এবার ফের তা শুরু হওয়ায় বিজেপির অন্দরেই জোরদার আলোচনা শুরু হয়েছে।

   যদিও এই ঘটনাকে 'গোষ্ঠীদ্বন্দ' মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। পাত্রসায়র মণ্ডল-২ সভাপতি তমাল কান্তি গুঁই বলেন, মণ্ডল-১ সভাপতি দেবানন্দ সরকারকে যারা মারধোর করেছে তাদের আগেই দল থেকে 'বহিস্কার' করা হয়েছে। তোলাবাজি ও অন্যান্য কারণে যাদের আগেই দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে, তারাই এই কাণ্ড করেছে বলে তার অভিযোগ। দলের মণ্ডল সভাপতিকে ব্যাপক মারধোরের পাশাপাশি গলায় থাকা রুপোর চেন ও বেশ কিছু টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ঐ সব প্রাক্তন কর্মীদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।